সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবরঃ সিদ্ধিরগঞ্জে কুমিল্লা-২ আসনের সরকার দলীয় এমপি সেলিমা ইসলামের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ সাদরিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে পুলিশ। আদালত আগামী রোববার রিমান্ড শুনানী দিন ধার্য্য করেছে।
বুধবার গভীর রাতে কুমিল্লা-২ আসনের এমপি সেলিমা ইসলামের গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ সাদরিলসহ ১০জনকে আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। কাউন্সিলর সাদরিল নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, কুমিল্লা-২ আসনের এমপি সেলিমা ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) সোহেলের চাচাতো বোন সালাম বেগম ও তার স্বামী হাফেজ আহমেদ সিদ্ধিরগঞ্জের ওমরপুর এলাকার কালুর বাড়ির ৪ তলায় ভাড়া থাকেন। বিয়ের পর থেকেই দুইজনের মধ্যে পারিবারিক বিষয়ক নিয়ে একাধিকবার কলহ হয়। সেই কলহ মেটাতে সোহেল বুধবার রাতে এমপি সেলিমা ইসলাম, তার চাচা ও সালমার বাবা জয়নাল আবেদীনসহ নিকটাত্মীয়দের সিদ্ধিরগঞ্জ নিয়ে আসেন। সালিশ বৈঠক শেষে উভয় পক্ষকে মিলে যাওয়ার কথা বলে নিচে নেমে আসেন এমপি সেলিমা ইসলাম ও তার লোকজন।
তখন ওই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুরু করেন হাফেজ আহমেদ। তা শুনে নাসিক কাউন্সিলর সাদরিলসহ এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে এসে বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলে। তাদের ভয়ে এমপি সেলিমা ইসলাম গাড়িতে না উঠে নিচতলার একটি রুমে চলে যান।
এ সময় হাফেজ আহমেদকে মারধর করা হচ্ছে ভেবে এমপির পিএস সোহেল এবং তার এক খালাতো ভাইকে লাঞ্ছিত এবং এমপির গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করেন উত্তেজিত এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এমপি সেলিমা ইসলামকে উদ্ধার করে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নাসিক কাউন্সিলর সাদরিলকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন কুমিল্লা-২ আসনের এমপি সেলিমা ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) সোহেল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এ ব্যাপারের পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply