নিজস্ব প্রতিবেদক: ফতুল্লার পাগলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে হত্যা করছে কাদির মিয়া (৬৫) নামক এক মুদী ব্যবসায়ীকে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার রাতে পাগলা পশ্চিম রসুলপুর এলাকার বায়তুল আমান জামে মসজিদ গলিতে।
নিহত মুদী ব্যবসায়ী কাদির মিয়ার পুত্র রাসেল জানায়,গতকাল( শনিবার) রাত ১১ টার দিকে তার বাবা কাদির মিয়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি লাল মিয়ার বাসা থেকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে নিজ বাসায় ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ইব্রাহিম খান,তার ছেলে রাসেল,ফয়সাল,একই এলাকার মহিদুল,,সোহাগ বেপারী,আবুল,মাহফুজ,ফরহাদ,নাইম সহ আরো কয়েকজন তার উপর হামলা চালিয়ে তাকে পেটাতে থাকে।এ সময় সে দৌড়ে বাসার সামনে এসে পরে যায়।হামলাকারীরা তার পিছু নিয়ে বাড়ীর সামনে এসে ও তাকে মারধর করে।এ সময় তার বাবা ডাক- চিৎকার শুনে সে সহ পরিবারের লোকজন তার সাহার্যার্থে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাকে সহ পরিবারের সদস্যদেরকে ও মারধর করে।এক পর্যায়ে তারা তার বাবাকে নিয়ে বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে গেইট বন্ধ করে দিলে হামলাকারীরা তাদের তাদের ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রাসেল স্টোর নামক দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর সহ লুটপাট করে।এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তারা রাস্তায় অবস্থান গ্রহণ করে এবং তাদের বাসার গেইটে ও তালা মেরে দেয় হামলাকরীরা।যার কারনে তার বাবাকে চিকিৎসা প্রদানের জন্য হাসপাতালে ও নিতে পারেননি।তিনি আরে বলেন সময় মতো হাসপাতালে নেয়া হলে তার বাবাকে আজ মরতে হতোনা।
তার বাবার অবস্থার অবনতি হলে এলাকার লোকজন ঢেকে এনে ভোর রাতের দিকে সিএনজি যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীনবস্থায় আজ সকালের দিকে তার বাবা মারা যায়।
নিহতের মেয়ে জানান,মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে শনিবার রাতে তার বাবার সাথে কথাকাটাকাটি হয়।এ সময় তারা তার বাবাকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিলে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পরে।তার বাবাকে বাসায় নিয়ে এসে স্থানীয় ঔষধের দোকান থেকে তার বাবার জন্য ঔষধও আনতে দেয়নি হামলাকারীরা। যে ছেলেটিকে ঔষধ আনতে পাঠিয়েছিল সে ছেলেকেও মারধর করে এবং দোকান থেকে নিয়ে আসা ঔষধের প্যাকেট ও তারা কেড়ে নেয়।পরবর্তীতে তারা দোকানে হামলা চালায় এবং বাসার গেইটের বাইরে তারা তালা ঝুলিয়ে দেয় যাতে করে তার বাবাকে চিকিৎসার জন্য কোথাও না নিয়ে যেতে পারে।তিনি তার বাবার হত্যার বিচার দাবী করেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানা,লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত স্বাপেক্ষে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply