শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১১ অপরাহ্ন

এইচএসসি পরীক্ষার বিষয় কমতে পারে-শিক্ষামন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ: করোনায় স্থগিত থাকা এইচএসসি পরীক্ষার বিষয় সংখ্যা কমতে পারে। স্বল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শনিবার (২৭ জুন) শিক্ষা বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত ‘করোনায় শিক্ষার চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে এ ভাবনার কথা জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছরের এইচএসসির সিলেবাস কমানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ তারা তো তাদের সিলেবাস সম্পন্ন করেছে। এখন হতে পারে যে, পাবলিক পরীক্ষা নেয়া হবে এবং এত লাখ লাখ পরিবার, এত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, এত প্রশাসনের মানুষ, এত শিক্ষক- সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলব? তাহলে সেটি আমরা কম সময়ে করতে পারি কি-না? কম সংখ্যক পরীক্ষা নিতে পারি কি-না? আমরা সবকিছুই ভাবছি। কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

গত ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেছে। পরীক্ষা কবে হবে- তা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজনে চূড়ান্ত প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে তা শুরু করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষা পরিস্থিতি অনুকূলে আসার ১৫ দিন পর এই পরীক্ষা নেয়া হবে। এই ১৫ দিন শিক্ষার্থীদের নোটিশ দিতে হবে। তাদের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে সময় দিতে হবে।

সিলেবাস কমানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারিকুলাম বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যেই সিলেবাস নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা বিষয়টি নিয়ে বসব। প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও শিখনফল যতটুকু অর্জন করা যায় ততটুকু নিয়ে সিলেবাস প্রণয়ন করার বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করব। শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে মূল্যবান সময় নষ্ট না করতে চলতি বছর ও আগামী বছর বার্ষিক সিলেবাস কিছুটা কমিয়ে আনা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে একই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বর্তমান সংকট পুষিয়ে নিতে চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। শিক্ষাবর্ষের ছুটি কমিয়ে শ্রেণি ঘণ্টা বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী শিক্ষার্থীর জ্ঞানার্জন ও দক্ষতা অর্জনের দিকটি আপস করা হবে না। যতটুকু না পড়ালে পরবর্তী ক্লাসে ওঠা সম্ভব না হয় সেটিকে গুরুত্ব দেয়া হবে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইরাব সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক। সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাব্বির নেওয়াজের সঞ্চালনায় এতে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইরাব কোষাধ্যক্ষ শরিফুল আলম সুমন।

আলোচনায় অংশ নেন ইরাব যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম জসিম, দফতর সম্পাদক এম এইচ রবিন, সাংবাদিক মহিউদ্দিন জুয়েল, তানিয়া আক্তার প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন...

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent Comments

    © All rights reserved © 2023
    Design & Developed BY M Host BD